করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে এবার আবেদন করেছে ভারত বায়োটেক। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানায়।
হায়দরাবাদভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্মটি ৭ ডিসেম্বর জানায়, তারা ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআইয়ের কাছে এ-সংক্রান্ত আবেদন করেছে।
ভারত বায়োটেকসহ মোট তিনটি ফার্ম ভারতে করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে দেশটির সরকারের কাছে আবেদন করল।
ভারত বায়োটেকের আগে একই আবেদন করে পুনেভিত্তিক ফার্মা সেরাম ইনস্টিটিউট ও যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতে দেশীয় পদ্ধতিতে কোভ্যাক্সিন নামের টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।
কোভ্যাক্সিন টিকা বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। এই ধাপে ভারতের ১৮টি স্থানে প্রায় ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর টিকার পরীক্ষা চালানো হবে।
টিকা নিরাপদ ও কার্যকর বলে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতেও জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলে শর্ত সাপেক্ষে টিকা প্রয়োগ করা যায়।
পরীক্ষার সব ধাপ সম্পন্ন ও সব তথ্য বিশ্লেষণের পর দেওয়া হয় টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন।
৪ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, দেশটিতে স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি তিনটি টিকা ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টিকা পাওয়া যেতে পারে।
একই দিন ফাইজার ইন্ডিয়া টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআইয়ের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তারা এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। আজ দেশটিতে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাহরাইন ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। ৪ ডিসেম্বর দেশটি এ ঘোষণা দেয়।