মীর আফরোজ জামান ঢাকা : ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর বন্ধন সৃস্টি হয় ১৯৭১ সালে । যারা পাকিস্তানের পক্ষে থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল তারা বিএনপি-জামাত জোট সরকার। সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল সংযোগ যাতে চালু করতে দেয়নি। তারা ভারতের নামও শুনতে পারেনি,আমাদের আওয়ামীলীগ সরকার শেখ হাসিনার সরকার সেটি চালু করেছে। এমনটিই জানালেন বাংলাদেশের রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। গতকাল ইউএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের সরকার জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরসুরী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে সেই হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে এনেছেন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিসহ সাতটি বিষয়ে চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন । বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব নথিতে স্বাক্ষর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল সম্মেলনে এসব নথি স্বক্ষরিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। ওইদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল সম্মেলন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মোদি নয়াদিল্লি থেকে এতে অংশ নেন। সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালের আগের পুরোনো চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল সংযোগ পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। রেল মন্ত্রী সুজন বলেন, এটি দু দেশের মধ্যে একটি ওইতিহাসিক ঘটনা। দু দেশের মধ্যে শিগগিরই যাত্রী পরিবহন শুরু হবে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে পুরোনো যে রেললাইনটি ছিল, সেটা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, শিয়ালদহ, রানাঘাট, ভেড়ামারা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পার্বতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে এই পথে আগে ‘দার্জিলিং মেইল’ নামে একটা ট্রেন চলত। সেটারই আদলে এই পথে আবারও দুই দেশের মধ্যে রেল চালু হবে। এটি সময়োপযোগী ও জরুরি উদ্যোগ।
সুজন বলেন, ভারত বাংলাদেশ আমাদের দুই দেশের সম্পর্কে সোনালি অধ্যায় চলছে। এই পথের মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।’
তিনি বলেন, চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন স্থান নেই। খালেদা জিয়া তাদের দোসর। এখনও তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সঙ্গে থেকে সেসব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিবে।
রেলমন্ত্রী এ্যডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তান পন্থী নন বেঙ্গলীরা রেলের অনেক সম্পত্তি এখনও দখল কওে রেখেছে সে গুলোর মধ্যে বেশ কিছু দখল মুক্ত করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে রেলের সব সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হবে।