বিশ্বজুড়ে বিটিএস উন্মাদনা থামছেই না। ২০২০ সালের ১৪ জুলাই মুক্তি পেয়েছে তাদের নবম স্টুডিও অ্যালবাম ‘ম্যাপ অব দ্য সোল: সেভেন-দ্য জার্নি’। এরই মধ্যে বিশ্বসংগীতের রেকর্ড বুকে বেশ কয়েকটি লাইন লেখা হলো অ্যালবামটি ঘিরে। মুক্তির ২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যালবামের ২১ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। বিলবোর্ড থেকে নামছেই না এই অ্যালবামের একাধিক গান।
শুধু ব্যান্ড আর ব্যান্ডের গানই নয়, এই ব্যান্ডের সদস্যরাও নানা অর্জন দিয়ে আছেন সংবাদ শিরোনামে। কিছুদিন আগে ‘সেক্সিয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ম্যান অ্যালাইভ’ হয়েছেন এই ব্যান্ডের সদস্য ২৩ বছর বয়সী জাংকুক।
অন্যদিকে ৪ ডিসেম্বর ২৮তম জন্মদিন ছিল আরেক সদস্য জিনের। তিনিই এই ব্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে বড়। তাঁর জন্মদিনে দীর্ঘদিনের আইন বদলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই দেশের একটি নিয়ম হলো, তরুণদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ২ বছর মেয়াদি সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
অর্থাৎ বয়স ২৮ হওয়ার আগেই সেই প্রশিক্ষণের জন্য নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। কিন্তু জিনের এখনো প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়নি। তাঁর সম্মানে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। কেননা, এখনই সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হলে বিটিএসের গানের ক্ষতি হবে, এমনকি ভেঙে যেতে পারে এই ব্যান্ড। তাই সেখানে বলা হয়েছে, দেশের আইকনিক ও পেশাগত কাজে ব্যস্ত ব্যক্তিরা শর্ত সাপেক্ষে ৩০ বছরের ভেতর যেকোনো সময় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এটিই ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে জিনের জন্য জন্মদিনের উপহার।
ভি, জাংকুক, জিমিন, সাগা, জিন, জে-হোপ ও আরএম—তরুণ সাত সদস্যকে নিয়েই বিটিএস। সাত বছরে তারা বিশ্বসংগীতের আসর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানে দাপটের সঙ্গে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
তাদের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৪ কোটি ১৬ লাখ। ইনস্টাগ্রামে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ফলোয়ার তাদের। টুইটারেও জুটে গেছে ৩ কোটি ৬২ লাখ ফলোয়ার। ফেসবুকে ১ কোটি ৬২ লাখ ভক্ত তাদের। পাশাপাশি ‘ডিনামাইট’, ‘লাইফ গোজ অন’, ‘বি’ গানগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মিউজিক স্টেশনগুলোতে, মাসের পর মাস ধরে আছে ট্রেন্ডিংয়ে।