‘লাস্ট স্টোরিজ’, ‘গিল্টি’-এর মতো সিরিজে বেশ সাহসী চরিত্রে দেখা গেছে কিয়ারা আদভানিকে। আবার ‘কবির সিং’, ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’-এর মতো ছবিতে তিনি একবারেই সাধারণ ভদ্র মেয়ে। আবার ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ছবিতে সাহসী চরিত্রে আসতে যাচ্ছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। রুপালি পর্দায় সাহসী চরিত্র করলেও প্রেম ও বিয়েতে কিয়ারা আস্থা রাখেন একেবারে পুরোনো দিনের প্রেমে।
এ মুহূর্তে কিয়ারা তাঁর আগামী ছবি ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত। আবির সেনগুপ্ত পরিচালিত ছবিটি তিনি একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই প্রচারের ঝামেলাটাও তাঁর কাঁধে। কারণ, ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ছবির সঙ্গে কিয়ারা ছাড়া আর কোনো বড় তারকার নাম নেই। তাঁর বিপরীতে কোনো নামী সুপারস্টারও নেই। তাই এই ছবির সফলতা–ব্যর্থতার ভার তাঁর ওপরেই। তবে কিয়ারা এ কথায় বিশ্বাসী না। তিনি বলেন, ‘একটা ছবি সবাই মিলে তৈরি করি। আজ পর্যন্ত আমি যা যা ছবি করেছি, তার ভার পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে সমানভাবে বহন করেছি। আমি কখনোই মনে করি না, যে শুধু নায়কের কাঁধে ছবির সফলতার ভার থাকে। আদিত্য শীল, মল্লিকা দুয়া, পরিচালক আবিরসহ সবার এই ছবিটি। তাই সবার কাঁধে সমান ভার।’
‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ছবিতে কিয়ারা ‘ডেটিং’ অ্যাপের সাহায্যে তাঁর জীবনসঙ্গীর সন্ধান করেন। তবে ব্যক্তিজীবনে এই বলিউড নায়িকা মোটেও এসবে বিশ্বাসী নন।
তিনি বলেন, ‘আমি পুরোনো দিনের প্রেমে বিশ্বাসী। আমার চিন্তাভাবনায় আজও কিছুটা গোঁড়ামি আছে। তাই আমি ডেটিং অ্যাপের সাহায্যে নিজের জীবনসঙ্গীর সন্ধান কখনোই করব না। তবে এ ধরনের অ্যাপ এখন খুবই জনপ্রিয়। আমার বেশ কিছু বন্ধুবান্ধব আছে, যারা ডেটিং অ্যাপের সাহায্যে তাদের জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছে। এসব ঘটনা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই ছবিতে ‘ইন্দু’ হয়ে উঠতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি।’
কিয়ারা বাস্তব জীবনে কী রকম প্রেমে বিশ্বাসী, তাঁর জবাবে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি যে এ ব্যাপারে আমি একটু আগের মানসিকতার। আমি সনাতনি প্রেমে বিশ্বাসী। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমার স্বপ্নের রাজকুমার একদিন নিজে থেকেই আমার কাছে ধরা দেবে। আমাকে তাকে খুঁজতে হবে না। তবে সেই রাজকুমার কবে আসবে, তার জবাব সময়ই দিতে পারবে।’
এদিকে কিয়ারাকে বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনের প্রেমে দিওয়ানা বলা যায়। তিনি বলেন, ‘“কহো না প্যায়ার হ্যায়” ছবি দেখেই আমি হৃতিকের ভক্ত হয়ে যাই। ওর প্রেমে পড়ি। আমি শুধু হৃতিকের জন্যই ডেটিং অ্যাপ “টিন্ডার”-এ জয়েন করতে পারি।’
‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ছবিতে এক যুবতী মেয়ের জীবনযাপন উঠে আসবে। কিয়ারার বাস্তব জীবনে এই অভিজ্ঞতা কেমন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের মায়েরা যখন আমাদের সাজগোছ করার অনুমতি দেন তখনই আমরা যৌবনের দরজায় কড়া নাড়ি। কারণ, তার আগপর্যন্ত আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে মায়ের কাজল, লিপস্টিক লাগাই।
আমি যখন ক্লাস নাইনে পা দিই, মা আমাকে সাজগোজ করার অনুমতি দেন। আসলে আমার মা খুবই কড়া প্রকৃতির নারী। আজও তিনি আমার ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল। আমি পার্টিতে গেলে জিজ্ঞাসা করেন, কখন বাড়িতে ফিরব। আমি বাড়ির বাইরে থাকলে মা নিয়মিত ফোন করে আমার খোঁজখবর নেন। আমি কোথায় আছি, কখন বাড়ি ফিরব, সব জানতে চান তিনি।’
১১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ ছবিটি। এদিকে রাজ মেহতা পরিচালিত ‘যুগ যুগ জিয়ো’ ছবির শুটিংয়ে চণ্ডীগড়ে গিয়েছিলেন কিয়ারা। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে অনিল কাপুর, বরুণ ধাওয়ান, নীতু কাপুরকে দেখা যাবে। বরুণ, নীতু আর রাজ মেহতাসহ আরও কয়েকজন কলাকুশলী কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় এই ছবির শুটিং আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।